মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করানো সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, তাদের আশ্রয় দেয়ায় কক্সবাজারের প্রাকৃতিক ভারসাম্যও ধ্বংসের পথে। এমতাবস্থায় বিকল্প হিসেবে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করেছে সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার চাপে তাদের সেখানে স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছিল না।
অবশেষে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে ১০টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে রোহিঙ্গারা। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে অন্তত ৩০০ জন রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে ধারণা রোহিঙ্গা নেতাদের।
এরা ছাড়াও মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকেও বেশ কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচর এলাকায় যেতে ট্রানজিট পয়েন্টের পথে রয়ে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সেখান থেকে আগামীকাল শুক্রবার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে উখিয়া কলেজ ট্রানজিট ঘাটে এসে উপস্থিত হলে সেখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোশারফ হোসেন বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী আড়াই হাজার রোহিঙ্গা সদস্যের একটি দল নিয়ে প্রথম ২০টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে এবং সেখান থেকে শুক্রবার নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর অবিলম্বে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পৃথক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানায়।
‘ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন ৪ যুবকের সঙ্গে, লটারির মাধ্যমে পাত্র বেছে নিলেন তরুণী’
Jasim Jany: ভাগ্য করে বউ পাওয়া যায়— এ কথা হয়তো শুনেছেন। কিন্তু......বিস্তারিত