বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শেষ পর্যন্ত দেশে আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ (রাতে আগে আগে ঘুমানো আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা)’ নীতি চালু করল পাকিস্তান।
তাতে বলা হয়েছে-বিয়ের অনুষ্ঠান ১০টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার বাড়ানো হবে। সরকারি দপ্তরগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার ৪০ শতাংশ কমানো হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি (২৭৪.৩ মিলিয়ন ডলার) সাশ্রয় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। খবর ডন, বিবিসির।
মন্ত্রিসভার বৈঠকটি দিবালোকে হয়েছিল। বৈঠকের সময় ঘরের পাখা, বাতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। নয়া নীতি অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাল্ব উৎপাদন বন্ধ থাকবে সেদেশে। কমানো হবে স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার। তাছাড়া সরকারি বিল্ডিং ও অফিসগুলোতেও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো হবে। বিদ্যুৎ বাঁচাতে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের পরামর্শ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি সারা দেশে একযোগে কার্যকর হবে। বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয় এমন বৈদ্যুতিক পাখার ওপর অতিরিক্ত কর বসানো হবে। এ ধরনের পাখার উৎপাদন ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজারে অনেক ধরনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পাখা রয়েছে। এতে বছরে ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি সাশ্রয় হবে। এছাড়া এলইডি বাল্ব ব্যবহার করলে বছরে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।
পাকিস্তানের বেশিরভাগ বিদ্যুৎই উৎপাদিত হয় আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। গত বছর বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার পর দেশটির এমনিতেই বিপর্যস্ত অর্থনীতির ওপর চাপ আরও বেড়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
পর্যাপ্ত জ্বালানি আমদানিতে দেশটির দরকার বিদেশি মুদ্রা, বিশেষত মার্কিন ডলার। গত বছর প্রায় ৫০ শতাংশ রিজার্ভ হারানো দেশটির কাছে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ১৭০ কোটি ডলার ছিল। এই অর্থ দেশটি তারা বড়জোর এক মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। তাদের আমদানি ব্যয়ের সিংহভাগই যায় জ্বালানি কিনতে।
‘রজব মাসের ফজিলত ও আমল’
1436 Shares Share on Facebook Share on Twitter ‘রজব’ শব্দের......বিস্তারিত