এম শরীফ আহমেদ, ভোলা।। ঋতুরাজ বসন্তে মিলছে না কোকিলের কুহু কুহু ডাক। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ।এক একটি ঋতুর এক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। শেষ ঋতু হিসাবে কবিগণ বসন্ত নিয়েই বেশি মাথা ঘামিয়েছে।বছরের শেষ ঋতু হিসাবে বসন্তকে রাজা হিসাবে বিবেচনা করেছে।
তবে বসন্তের কোকিল একটি পরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে।বর্তমানে কোকিল আছে সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মুখে, গানে-বাগধারায়। কোকিলকণ্ঠী, বসন্তের কোকিল-এমন কত না উপমায় কোকিল ব্যবহৃত হয়।কোকিলের কুহুতান ছাড়া বসন্ত ভাবা যায় না।
তার পরও এখন কোকিল ছাড়াই বসন্ত আসে চলে যায়। সারা দেশেই এখন আর আগেরমতো কোকিলের ডাক শোনা যায় না।হারিয়ে যেতে বসেছে সুরেলা কোকিলের ডাক।সুরেলা পাখি কিংবা গানের পাখি হিসেবে কোকিল আমাদের কাছে পরিচিত।
গ্রামের মেঠোপথ ধরে বা শহরের আশপাশের গাছ-গাছালির নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দূর থেকে ভেসে আসা কোকিলের সুমধুর সুরে প্রাণের মাঝে ঝঙ্কার তোলেনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।লোকজ ঐতিহ্যের সংগ্রাহকদের কথা,কোকিল আগের মতো দেখাই যায় না।নতুন প্রজন্ম এসব নিয়ে ভাবে না।কোকিলের বংশধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে ভোলা সরকারি কলেজের প্রানিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মোমেন মিঞা বলেন,আগে বসন্তে অন্যান্য দেশ থেকে দ্বীপ জেলা ভোলায় কোকিল আসত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এখন আর ভোলায় কোকিল দেখা যায় না।
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ কামাল হোসেন বলেন কয়েক বছর আগে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা,চর কুকরি-মুকরি ও ঢালচরে কোকিলের কুহু কুহু ডাক শুনা যেতো।কিন্তু এখন আর কোকিল তেমন দেখা যায় না। আর সুরেলা ডাকও শুনা যায় না।
হাসান পিন্টু
‘সৌদি-আমিরাতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব’
1157 Shares Share on Facebook Share on Twitter মধ্যপ্রাচ্যের দুই......বিস্তারিত