দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ বাহিনীতে এসে কারও অবৈধ উপায়ে অবৈধ অর্থ আয়ের ইচ্ছা থাকলে তারা চাকরি ছেড়ে চলে যান।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইজিপি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন জনগণের কল্যাণে কাজ করার অপার সুযোগ রয়েছে পুলিশের। পুলিশ হতে পারে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা, সোশ্যাল লিডার। একজন দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। গুরুত্বের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।’ পাশাপাশি নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট রাখতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আইজিপি বলেন, ‘উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত আইন-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকা। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, সামাজিক সূচকেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবে। পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হতে হবে। আজকের নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদেরই ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।’

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ। আত্মতুষ্টি নয়, আমরা অনেক পথ এসেছি, যেতে হবে বহুদূর। পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশা বেশি,‌ সমাজের চাহিদা বেশি। জনগণ, সমাজ, মিডিয়া প্রতিনিয়ত পুলিশকে ওয়াচ করে।’

৩৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে। নিজের মধ্যে দৃঢ় প্রত্যয় সৃষ্টি করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো ধরনের সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য অপেক্ষা না ক‌রেই পুলিশ সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা জনগণের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি । জনগণকে ভালোবাসলে তাদের ভালোবাসাও পাওয়া যায়।’

জঙ্গিবাদ দমনে সফলতার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশ বিশ্বে রোল মডেল। দেশে জঙ্গিবাদ দমনে আমরা জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। যার ফলে জঙ্গিবাদ দমনে সফল হয়েছি। আমরা জনগণের সঙ্গে অসদাচরণ করা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। পেশিশক্তি, নয় ব্যবহার করতে হবে আইনি সক্ষমতা।’