ভোলার লালমোহনে বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, গত এক মাস ধরে বেড়েছে এ রোগের প্রকোপ।
হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও ইমার্জেন্সি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে এক শত জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশুকে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ১ মাস থেকে দুই বছর বয়সী শিশু।
লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিমা বেগম তার কন্যা শিশুর চিকিৎসার জন্য এসেছেন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিনি বলেন, ৪ দিন ধরে মেয়ের জ্বর। এলাকা থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছি। তবুও জ্বর কমছে না। তাই এখন হাসপাতালে এসেছি ভালো চিকিৎসার জন্য।
অন্যদিকে, উপজেলার চতলা এলাকা থেকে দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছেন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই মেয়ের ডায়রিয়া। এলাকার পল্লী চিকিৎসক থেকে ওষুধ নিয়ে খাইয়েছি। এরপরও ডায়রিয়া না কমায় হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে।
নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই গত এক মাস ধরে এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশই শিশু।
যেসব শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, তাদেরকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা প্রদান করছেন। এছাড়া নার্সরাও আন্তরিকভাবে এসব শিশুদের সেবা করছেন। আবহাওয়া ঠিক হয়ে গেলে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমবে বলে আশাবাদী এ চিকিৎসক।
‘রজব মাসের ফজিলত ও আমল’
1436 Shares Share on Facebook Share on Twitter ‘রজব’ শব্দের......বিস্তারিত