কখনও সেনাবাহিনী আবার কখনও র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল-আমিন মিন নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। প্রকৃত নাম আল-আমিন হলেও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় কখনও আবির আবার কখনও আল-অমিন র্যাব নামে এমনকি বিভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে প্রতারিত করে যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রামের অসহায় সহজ সরল মানুষের সাথে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, এই আল-আমিন ‘আল-আমিন র্যাব নামে ফেইসবুকে একটি আইডি খুলে নিজেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা দাবী করে এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগী মানুষরা অতিষ্ঠ তার এহেন কর্মকান্ডে।
চরফ্যাসন উপজেলা নীলকমল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ তছির মাঝি (৪৫), দুলাল (৪০) এবং শাহাবুদ্দিন মাঝি (৪২) এ তিন ব্যাক্তির কাছ থেকে একে একে ৭৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক আল-আমিন।
এতোদিনে তারা প্রতারক আলামিনের ঠিকানা বের করতে না পারায় এ ব্যাপারে কোনো ধরনের আইনী সহায়তা নিতে পারিনি। এখন তার স্থায়ী ঠিকানা খুঁজে পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী এই তিন ব্যাক্তি।
প্রতারক আল-আমিনের কাছে প্রতারণার শিকার তছির মাঝি বলেন, প্রায় একবছর আগে প্রথমে আল-আমিন তার কাছে সেনাবাহিনী পরে র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে এমনকি আল-আমিন নিজের নাম গোপন রেখে আবির নামে পরিচয় দেন। এবং তাকে সেনাবাহিনী ও র্যাব কর্মকর্তার পরিচয়পত্র দেখান। তার এক মামলা থেকে তাকে খালাশ করে দিবে বলে আল-আমিন তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায়ে সর্বমোট ৩৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরেও আল-আমিন তাকে মামলা থেকে খালাশ করতে পারিনি। এরপরে আল-আমিন তার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। একই উপায়ে এ আল-আমিন ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন একই গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো. দুলাল।
ভূক্তভোগী মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, এক বছর আগে এ আল-আমিন র্যাবের নৌকায় মাঝি পদে নিয়োগ দিবে বলে তার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে প্রতারক আল-আমিনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সেনাবহিনী ও র্যাব পরিচয় অস্বীকার করে প্রতিবেদকে বলেন, আমি নারায়নগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মৃনাল কান্তি স্যারের ব্যাক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে কাজ করি। গত এক বছর আগে তছির এবং দুলালের এক গরু চুরির মামলায় তদবির করার জন্য আমার কাছে এসেছিল কিন্ত আমি তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা নেইনি। কিছুদিন পর জানতে পারলাম তারা এ ব্যাপারে অন্য এক ব্যক্তির সাথে পূনারায় তদবিরের জন্য যোগাযোগ করায় আমি তাদের সাথে আর কোনো যোগাযোগ করিনি।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ ধরনের প্রতারণামূলক বিষয়গুলো দুদক দেখে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দুদকের নিকট হস্তান্তর করবো।
লালমোহননিউজ/ এ.জেএস/এইচ.পি