লালমোহননিউজ টোয়ান্টিফোর ডটকমঃ স্ত্রীকে ফাঁসাতে নিজের ১৪ বছরের সন্তানকে হত্যা করলো এক পাষণ্ড পিতা। ছেলেকে হত্যার প্রায় ছয়মাস পর গতকাল সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ওই বাবা।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুন্দাইল গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া (৩৮) এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন গত বছরের ২৭ অক্টোবর। ডিবি পুলিশের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র দাস জানান, মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ হত্যা রহস্য উন্মোচন করে। গত রোববার বাবা দুলাল মিয়াকে আটক করা হয়। সোমবার আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুলাল মিয়া জানান, ছেলেকে বাড়ির পাশে বিলে ডেকে নিয়ে যায় বাবা। এর পর বিলে নামিয়ে ছেলের ঘাড় ধরে পানির নিচে চেপে ধরে রাখে। মৃত্যুর যন্ত্রণায় ধস্তাধস্তি করে কিশোর ছেলে। কিন্তু পাষণ্ড বাবা ছাড়েনি তাকে। দেহ নিথর হওয়ার পর পানি থেকে তুলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মৃত ছেলের গলায় ছুরি চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, দুলাল মিয়া তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। নিহত আব্দুল্লাহ সংগ্রাম (১৪) তার প্রথম স্ত্রী রেহেনার সন্তান এবং সে বাবার সঙ্গেই থাকত। দুলাল মিয়া ও তার তৃতীয় স্ত্রী সুখিয়া আক্তারের বনিবানা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে দুলাল তাঁর ছেলে সংগ্রামকে পাশের বিলের পানিতে চুবিয়ে পরে ছুরি মেরে হত্যা করেন।
এরপর তৃতীয় স্ত্রী সুফিয়া, শ্যালক শহীদুল ও শহীদুলের ভগ্নিপতি মোকসেদকে আসামি করে নান্দাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পরের দিন বিল থেকে সংগ্রামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হাসান পিন্টু
‘পদ্মা সেতুর নামে বিদেশী ছবি প্রচার হচ্ছে কেন?’
1889 Shares Share on Facebook Share on Twitter পদ্মা সেতু......বিস্তারিত