লালমোহননিউজ ডেস্কঃ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কর্মসুচিতে আগামী মার্চ মাস থেকে আবারও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন পড়বে।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদ, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানসহ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছিল। টানা পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হয়। ওই কর্মসূচির আওতায় একটি স্লোগান ঠিক করা হয়, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’।”
কামরুল ইসলাম জানান, চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ মেট্রিকটন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের কাছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং বাকিটা গম।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহবুদ্দিন আহমদ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়; এরপর বিত্তশালীরা এ কর্মসূচির আওতায় চাল পাচ্ছেন ও দরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ উঠে। একপর্যায়ে দরিদ্রদের তালিকাও সংশোধন করা হয়। কিন্তু একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি গুদামে চাল সংকটের কারণে কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়।
হাসান পিন্টু
‘সকালে সন্তান জন্ম দিয়ে বিকেলেই করোনায় মৃত্যু’
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ টিভির অ্যাসোসিয়েট নিউজ প্রডিউসার রিফাত সুলতানা......বিস্তারিত